Citizen Charter
নাগরিক সেবা ব্যবস্থা
গণপূর্ত অধিদপ্তর
উদ্দেশ্যঃ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সরকারী আবাসিক বাসভবন এবং অফিস সমূহের প্রতিনিয়ত রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হন তা স্বল্পতম সময়ে প্রত্যাশিত মান অনুযায়ী গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে সেবা তথা প্রতিকার পাওয়ার পদ্ধতি প্রণয়নই হলো গণপূর্ত অধিদপ্তর সম্পর্কিত ‘‘সিটিজেন চাটার’’। এছাড়া গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় যে সকল নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সম্পাদন করে থাকে তা নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত মানে ও উপযুক্ত ব্যয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার সাথে সম্পাদন নিশ্চিতকরণও এই চার্টার প্রণয়নের উদ্দেশ্য।
সিটিজেন চার্টারে উপাদান সমূহঃ-
সিটিজেন চার্টারের উপাদান সমূহ হলোু
(ক) দর্শন এবং উদ্দেশ্য এর বিবরণ
(খ) প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সম্পাদিত কাযক্রমের বিস্তারিত বিবরণ
(গ) সেবা গ্রহণকারী সংস্থা বা ব্যক্তির বিবরণ
(ঘ) সেবা গ্রহণকারী সংস্থা বা ব্যক্তিদের সেবা প্রদানের বিবরণ
(ঙ) অভিযোগ বা কষ্ট প্রতিকারের ব্যবস্থা ও পদ্ধতির বিস্তারিত বিবরণ
(চ) সেবা গ্রহণকারী সংস্থা বা ব্যক্তিদের নিকট প্রত্যাশা সমূহ
মনে রাখার বিষয় সমূহঃ-
নাগরিক সরকারী বিভাগ/সেবা প্রদানকারী সংস্থা সমূহের নিকট যা প্রত্যাশা করে থাকেন তা হলো -
(ক) সম্পাদিত কার্যের দৃঢ়তা
(খ) যথা সময়ে সেবা প্রদান
(গ) সেবা গ্রহণকারী স্বার্থের বিষয়ে আন্তরিকতা
(ঘ) সেবা গ্রহণকারী প্রয়োজনের প্রতি সর্তক দৃষ্টি দেয়া
(ঙ) সৌজন্যবোধ এবং মনোযোগ অর্থাৎ সেবা প্রদানের ইচ্ছার ব্যস্তব প্রমাণ।
সিটিজেন চার্টারে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র সমূহঃ-
সিটিজেন চার্টার বা নাগরিক অধিকার ব্যবস্থার ছয়টি মূলনীতি হলো -
(ক) প্রকাশিত মাপকাঠি বা মানদন্ড
(খ) সুষ্পষ্টতা এবং তথ্য
(গ) পছন্দ এবং পরামর্শ
(ঘ) সৌজন্যতা এবং উপকারিতা
(ঙ) ভূল জিনিসের প্রতিবিধান করা
(চ) অর্থের মূল্য দেয়া।
এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাথে সেবা গ্রহণকারী ব্যক্তি বা সংস্থার পারস্পারিক বিশ্বাস, আস্থা এবং সুসম্পর্ক সৃষ্টি হবে, সেই সাথে গণপূর্ত অধিদপ্তর ও অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের কাজের মান পরেমাপ পূর্বক দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সুতরাং গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত উন্নততর মান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জনগণকে সেবা প্রদান করার লিখিত অঙ্গীকার হলো এই ‘সিটিজেন চার্টার’।
সিটিজেল চার্টার বাস্তবায়ন:
সিটিজেন চার্টার প্রনয়নের চাইতে এর বাস্তবায়ন অধিক গুরুত্বপূর্ণ । এর সফল বাস্তবায়নের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর দিকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েচেঃ
১। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর দপ্তরে নির্ধারিত সময়ে টেলিফোন অভিযোগ গ্রহণ এবং রেষিষ্টার লিপিবদ্ধ করনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২। সিটিজেন চার্টার লিফলেট/সাইনবোর্ড/ বুকলেট ইত্যাদির মাধ্যমে ভবন ব্যবহারকারীদের নিকট প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সকল কার্যালয়ে এই চার্টার সাবক্ষনিকভাবে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৩। সংশ্লিষ্ট Zonal Head তথ্যAdditional Chief Engineer (Zone) কর্তৃক Annual Procurement Plan (APP) এর মাধ্যমে কর্মসূচী অনুমোদন প্রদান করা হবে।
৪। বাসভবনের শ্রেনী বিন্যাস অনুযায়ী প্রাপ্ত সূবিধাদি বুকলেট আকারে বিতরণ করা হবে।
৫। প্রতি অর্থ বছরে আগষ্ট মাসের মধ্যে প্রধান প্রকৌশলী’র দপ্তর হতে মেরামত কাজের বিভাগ ওয়ারী সম্ভাব্য বরাদ্দ অবহিত করা হয়।
৬। মেরামত কাজের ‘সেবা ’ কে ৩ ভাগে ভাগ করা হচ্ছেঃ
ক) দৈনন্দিন মেরামত ঃ প্রয়োজন অনুযায়ী
খ) সাধারণ মেরামত ঃ নির্মাণের ব্যয়ের ২% হারে ব্যয়িতব্য
গ) বিশেষ প্রকৃতির মেরামত ঃ কাজের প্রকৃত চাহিদা অনুযাী।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস